সংবাদ শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জের সদরের পঞ্চসারে বাড়িঘরে হামলার পরে লুট-পাটের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের সদরের পঞ্চসারে বাড়িঘরে হামলার পরে লুট-পাটের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি –

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার পঞ্চসারে জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের জেরে মারধর করে বাড়িঘর ভাঙচুর, পরে লুট-পাটের অভিযোগে উঠেছে প্রতিপক্ষ আয়েত আলী দেওয়ান, তার ভাই ও ছেলের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগষ্ট মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ফিরিঙ্গ বাজার এলাকায় মনির হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আইনের সহযোগিতার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী মনির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তাদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোদের জেরে স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাদের মারধর করে। পরে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা সকল জিনিষপত্র লুটপাট করে। দুইটি বসত ঘর ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে সকল কিছুই নিয়ে যায়।

অভিযোগ থেকে জন্য গেছে, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সন্ধ্যার দিকে পঞ্চসার ফিরিংগি বাজার এলাকার বাসিন্দা আয়েত আলী দেওয়ান তার ভাই আব্বাস আলী দেওয়ান ও আয়েত আলী দেওয়ানের ছেলে আলি দেওয়ান নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক লাঠিসোঠা চাপাতি, দেশিয় অস্ত্র, রামদা নিয়ে মনির হোসেনের ৭০ বছরের পুরাতন বসতবাড়িতে অতর্কীত হামলা করে। তারা মনিরের বাড়ীতে ঢুকে পরিবারের সমস্ত সদস্যদের মারধর করে। তারা মনিরের স্ত্রী, সন্তানকে পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে। মনিরের স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর থেকে রক্ষা করতে গেলে মনিরের শ্যালকে চাপাতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে মনিরের শ্যালকের মাথায় ২৭টি সেলাই লাগে।

পরে আয়েত আলী দেওয়ান তার ভাই ও ছেলে তাদেরকে জোড়পূর্বক এক কাপড়ে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে বাড়িতে থাকা আট ভরি স্বর্ণের গহনা, দুটি রেফ্রিজারেটর, নগদ তিন লাখ টাকা, একটি টেলিভিশন, একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, দুটি মোবাইলফোন, বাড়ির প্রয়োজনীয় দলিল পত্র, ব্যাংকের লেনদেনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, চেক, পাসপোর্ট, দুটি বসতঘর, জাল তৈরির কারখানার যন্ত্রপাতি সহ দুটি গোডাউন ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র এবং ঘর দরজা সব ভেংগে লুট করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন, বাড়ির পাশে অন্য একটি জমি নিয়ে ঝামেলা ছিলো তাদের সাথে। মামলাও চলমান রয়েছে। সরকার পতনের পর তারা এসে আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। ঘরগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে গেছে। মারধরের পর এক কাপড়ে আমরা চলে আসতে বাদ্য হয়েছে। আমাদের ঘরে থাকা সকল কিছুই লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আয়েত আলীর সাথে কথা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে ফোন রেখে দেয়।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী