সংবাদ শিরোনাম :

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ভারতের ১ম স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি স্মারক শহীদ মিনারে শীর্ষে ১৮৫৭ সালে শহীদদের স্মরণে’ লেখাটি পুনস্থাপন করাসহ ৬ দফা দাবিতে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান।
আজ ২৫ আগষ্ট ২০২৪ রবিবার সকাল ১১ টায় ১৮৫৭ সালের ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত এবং জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়, কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দি কলেজসহ অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ পুরান ঢাকার মানুষের অবসর বিনোদন, অক্সিজেন গ্রহণ ও প্রাতঃভ্রমণ, সাংস্কৃতিক কর্মকাÐের একমাত্র স্থান ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক-এর অভ্যন্তরে ১৮৫৭ সালের ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের শীর্ষে ১৮৫৭ সালে শহীদদের স্মরণে লেখাটি পুনস্থাপন করাসহ ৬ দফা দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ। স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে নগর ভবনের প্রধান ফটকে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ্ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক মীরুজ্জামান খান ও পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান খান। বক্তব্য রাখেন পুরান ঢাকার নাগরিক মোঃ আল-আমিন সরদার, মোঃ সেলিম হাওলাদার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, বাহাদুর শাহ পার্ক শুধু পার্ক নয়। এটি ১৮৫৭ সালের ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের রক্তে রঞ্জিত এক ঐতিহাসিক স্থান। ১৮৫৭ সালের ২২ নভেম্বর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আহত এবং পালিয়ে যাওয়া দেশপ্রেমিক বীর সিপাহীদের ধরে এনে ১১ জন সেনাকে এই স্থানে বর্বর ইংরেজরা নির্যাতন করে গাছে সাথে ঝুলিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় ধারাবাহিকতায় ১৮৫৮ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণ করে এবং এই ময়দানের নামকরণ হয় ভিক্টোরিয়া পার্ক। পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধের ১০০ বছর পূর্তিতে বীর শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার তৈরি করা হয় এবং নামকরণ হয় বাহাদুর শাহ্ পার্ক। সেই ইতিহাস সংরক্ষণের বদলে বর্তমান প্রজন্মের কাছ থেকে সাহসী বীরদের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা আড়াল করা হচ্ছে। এই স্থানের মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের একান্ত কর্তব্য। অত্র এলাকার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, প্রাত ও সান্ধ্য ভ্রমণকারী বয়ঃবৃদ্ধ সম্মানিত নাগরিক ও সর্বস্তরের এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক-এর ঐতিহাসিক মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা উদ্দেশ্যে পূর্বের ন্যায় শহীদ মিনারের উপরিভাগ থেকে মুছে ফেলা ১৮৫৭ সালে শহীদদের স্মরণে’ লেখাটি পুনস্থাপন এবং এই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের রং পূর্বের ন্যায় লাল রং দিয়ে সুন্দর্য বর্ধন করা এখন সময়ের দাবি। সভাপতি তার সমাপনী ভাষনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনার মাধ্যমে পুরান ঢাকার একমাত্র পার্কের পরিবেশ এবং স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করে জনগণের আস্থার প্রতিফলন ঘটাবেন।
দাবিসমূহ।
১। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপরিভাগ থেকে মুছে ফেলা ‘১৮৫৭ সালে শহীদদের স্মরণে” লেখাটি পুনস্থাপন করতে হবে এবং এই শহীদ মিনারের রং পূর্বের ন্যায় লাল রং দিয়ে সুন্দর্য বর্ধন করতে হবে।
২। পার্কের জায়গা দখল করে নার্সারী করা হয়েছে। এই জায়গা দখলমুক্ত করে হাটার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৩। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নাতা কর্মী ও দারোয়ান না থাকার কারণে পার্কের পরিবেশ, মাদকসেবীদের আখড়া, ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম বেড়ে গেছে যা উচ্ছেনসহ দারোওয়ান ও পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগে আপনার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
৪। পার্কের জায়গা/হাটাচলার অংশে দোকান বসিয়ে হাটার পরিবেশ নষ্ট করছে। যা উচ্ছেদে আপনার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
৫। ব্যায়ামের সরঞ্জাম পূর্বে পার্কে ছিল। কিন্তু গত সরকারের সময় থেকে তা উঠিয়ে নেওয়ায় ব্যায়াম ও শিশু-কিশোরদের খেলার সরঞ্জাম না থাকায় অত্র এলাকার জনসাধারণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পার্কের কোয়ার্টার মাইলের মধ্যে অবস্থিত ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ব্যায়াম করা বা বিশ্রাম নেওয়ার পরিবেশ তৈরি ও ব্যায়ামের সরঞ্জাম বসানোর অনুরোধ করছি।
৬। পার্কের বৈদ্যুতিক লাইন নিয়ে ব্যবসাসহ অন্যান্য বেআইনি কাজে ব্যবহার হচ্ছে। যা বাতিলে আপনার নির্দেশনা কামনা করছি।
বার্তা প্রেরক

আক্তারুজ্জামান খান
সদস্য সচিব
ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ্ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ
মোবাইল: ০১৮২৩-৭৪২৫৭১

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী