সংবাদ শিরোনাম :
সোনারগাঁয়ে ৮দিন পরেও নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী, নেই পুলিশি উদ্ধার তৎপরতা

সোনারগাঁয়ে ৮দিন পরেও নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী, নেই পুলিশি উদ্ধার তৎপরতা

ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৮দিন ধরে ফাতেমা আক্তার নামের এক স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। সে জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নমব শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৪ সেপ্টেম্বর স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ায় ঘটনার পরদিন ওই ছাত্রীর বাবা সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। দীর্ঘ ৮দিন নিখোঁজের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্ধার তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারের। তবে ওই ছাত্রীকে অপরহণ করা হয়েছে জানতে পেরে পুনরায় গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় ৮জনকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন তার বাবা আব্দুল হালিম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে ফাতেমা আক্তার গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে মহজমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ না পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবা আব্দুল হালিম বাদি হয়ে পরদিন সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। দীর্ঘ সময় ধরে নিখোঁজ থাকলেও পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে কোন তৎপরতা দেখাননি। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি সূত্রে জানতে পারেন একই এলাকার বিরোধের দ্বন্দে প্রতিপক্ষ মো. ইয়াছিন মিয়ার ছেলে মাসুদ রানাসহ তিনজন ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে চার জনের নাম উল্লেখসহ ৮জনকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
অপহৃত ছাত্রীর বাবা আব্দুল হালিম বলেন, তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন সিএনজি যোগে অপহরণ করেছে। দ্রুত তার মেয়েকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত অপহরণকারী মাসুদ রানার বাবা ইয়াছিন মিয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। যোগাযোগ করতে পারলেই ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ সকল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। দ্রুত অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হবে। পাশাপাশি অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী