ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে ইয়ার আলী শেখ(৪৫) হত্যার ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট ও বিবাদী পক্ষের জাহাঙ্গীর ফকিরের মেয়ে (অন্তঃসত্ত্বা) আরিফা বেগম কে মারপিট করে গর্ভের বাচ্চা হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্হানীয় সূত্রে জানাযায় গত ১১ আগস্ট রাতে ওমর মাতুব্বর গং এর লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইয়ার আলী শেখ কে আহত করে।
দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ইয়ার আলী মারা যায়। ইয়ার আলী শেখ এর মৃত্যুর খবর তার লোকজন শুনতে পাওয়া মাত্রই
প্রতিপক্ষ ওমর মাতুব্বর গংদের একাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করে।
৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নিহত ইয়ার আলী শেখ এর লোকজন দ্বিতীয় দফায় প্রতিপক্ষ ওমর মাতুব্বর গংদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। হামলার সময় জাহাঙ্গীর ফকিরের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা আঈরিফা কে মারপিট করায় গর্ভের বাচ্চা(ব্রন) মারা যায়। আহত আরিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপরদিকে নিহতের ভাই শাহাআলম শেখ বলেন, ঘটনার দিন রাত ৯ টার সময় আমার ভাই ইয়ার আলী শেখ গোপালিয়া উত্তর পাড়া তিন রাস্তার মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির সামনে পৌছালে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় মারপিট করে। ইয়ার আলীকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি এবং গত ৩ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই গ্রামে একটি মার্ডার হয়েছে। মার্ডারের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে কি না, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।