সংবাদ শিরোনাম :
ঝাঁপা বাঁওড় মৎস্যজীবী সমিতির সংবাদ সম্মেলন

ঝাঁপা বাঁওড় মৎস্যজীবী সমিতির সংবাদ সম্মেলন

 

উত্তম চক্রবর্তী,নিজস্ব প্রতিবেদক

মণিরামপুর।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা বাঁওড়ে মাছ লুটপাট এবং আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে অতি বৃষ্টিজনিত কারণে তলিয়ে যাওয়ায় দু’ কোটি ১০ লাখ টাকার মাছের ক্ষতির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঝাঁপা বাঁওড় পরিচালনা কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝাঁপা বাঁওড়ের সভাপতি সুধাংশু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ৬০৫ একর আয়তনের ঝাঁপা বাঁওড় (বন্ধ) জলমহলটি বাংলা ১৪৩০ থেকে ১৪৩৫ সন পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য ইজারা গ্রহণ করে বর্তমান মৎস্য চাষের মাধ্যমে ভোগদখল করছে। সমিতি প্রত্যেক ইজারা বর্ষে এক কোটি যাট লাখ টাকা ইজারা সরকারকে প্রদান করে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে ১৮০০-২০০০ লোক জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়েছে। অন্যদিকে, ২৫ জুলাই থেকে বৃষ্টির পানির কারণে মাছ বাঁওড়ের কিনারায় ছিল। লুটকারীরা খবলা জাল, হুইল, সিপ, কল, ক্যারেন জাল, চারো ইত্যাদি দিয়ে মাছ ধরেছে। এরপর ২১ আগস্ট হতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টিসহ বন্যা দেখা দেয়। যশোর অঞ্চলে ২১ থেকে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হয়। বাঁওড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার ভারী বৃষ্টির পানি বাঁওড়ে প্রবেশ করে। একই সাথে ঝাঁপা বাঁওড়ের সাথে যুক্ত কপোতাক্ষ নদের পানি বাঁওড়ে প্রবেশ করে। বাঁওড় পানিতে তলিয়ে যায়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা অভাব এখনও বিদ্যমান রয়েছে। দুর্বৃত্তরা এখনও জোরপূর্বক মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে

জলমহলটি হতে মাছ রক্ষা করা সম্ভব হবেনা সদস্যগণ ঋণগ্রস্ত হবে, তাদের জীবনজীবিকার কোনো সংস্থান থাকবে না, অর্থের অভাবে আগামী অর্থবছরে খাজনা দিতে পারবেনা। সবমিলিয়ে ক্ষতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং হতদরিদ্র মৎস্যজীবীদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে ভূমি মন্ত্রণালয় ও যশোর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মৎস্যজীবীরা।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী