সংবাদ শিরোনাম :
অশুর শক্তির বিনাশের প্রার্থনায় দেবী দুর্গাকে বিদায়

অশুর শক্তির বিনাশের প্রার্থনায় দেবী দুর্গাকে বিদায়

লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জঃ

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও নানান আয়োজনের মাধ্যমে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন ভক্তকূল। আর মর্ত্যে ‘বাবার বাড়ি’ বেড়ানো শেষে ঘোড়ায় চড়ে ‘কৈলাসে দেবালয়ে’ ফিরেছেন আনন্দময়ী দেবী দুর্গা। তার কাছে অশুর শক্তির বিনাশের প্রার্থনা করেছেন ভক্তরা। দেবীর বিদায়ের আগে মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা। দেবী দুর্গার চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন তারা।

হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে ‘কাত্যায়নী মুনির কন্যারূপে’ মর্ত্যলোকে আসেন। সন্তানদের নিয়ে পক্ষকাল পিতার গৃহে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। আশ্বিন শুক্লপক্ষের এই ১৫টি দিন দেবীপক্ষ, মর্ত্যলোকে উৎসব।

মহালয়ার মধ্য দিয়ে গত ২ অক্টোবর দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা ও আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর গত বুধবার ষষ্ঠী থেকে পাঁচ দিনের যে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল, রবিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শেষ হয়। মাঝে বৃহস্পতিবার নবপত্রিকায় প্রবেশ ও স্থাপনে হয় মহাসপ্তমী। পরদিন শুক্রবার সকালে কুমারী পূজার পাশাপাশি মহাঅষ্টমীর বিহিত পূজা ও সন্ধিপূজা হয়।

আর তিথির কারণে একই দিনে গত শনিবার দুর্গোৎসবের মহানবমী ও দশমী পূজা হয়েছে। এরপর থেকে মায়ের বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল চারটা থেকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ ঘাটের
ধলেশ্বরী নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মুন্সিগঞ্জে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে ধলেশ্বরী
নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী